সুপার মাইক্রো

(ফসলের মূখ্য ও গৌণ অনুখাদ্য উপাদান)

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকারক রেজিঃ নং- এম-৩৫৯, ট্রেড মার্ক নং-২৫৫৯০৫

সরকার অনুমোদিত সুপার মাইক্রোর উপাদান সমূহ

সালফার ০৭.৫০%, ক্যালসিয়াম ১৫.০০%

ম্যাগনেসিয়াম ২.৮০%, দস্তা ১১.০০%

বোরণ ১.০০%, কপার ০.৭০%

লৌহ ০.৫০%

Description

সুপার মাইক্রো ব্যবহারের উপকারিতা:

* সালোক সংশ্লেষনে সাহায্য করে গাছের দ্রুত শিকড় গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে * হরমোনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় * গাছের কোষের দেয়াল শক্ত করে ফুল ও কুড়ি ঝরে যাওয়া রোধ করে * ফুল ফোটানো, ফল গঠনে সাহায্য করে * মাটি থেকে বিষাক্ত দ্রব্যাদি গ্রহণে গাছকে বিরত রাখে * গাছের পাতার সবুজ কনিকা গঠনে ও রক্ষায় সাহায্য করে।

প্রয়োগের ক্ষেত্র:

ধান, গম, আঁখ, চা, ভুট্টা, চিনা, বাদাম, আলু, রসুন, পিয়াজ, মরিচ, টমেটো, বেগুন, করলা, লাউ, পটল, ঢেঁরস, তরমুজ, শশা, পুইশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, বরবটি, সীম, কচু ইত্যাদিসহ সকলপ্রকার ফসল, মুগ, মশুর, খেশারী, ছোলাসহ ডাল জাতীয় ফসল, কলা, আম, আনারস, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গিসহ সকল প্রকার ফল ও গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ সকলপ্রকার ফুল গাছের

জমিতে প্রয়োগ করা যায়।

প্রয়োগের সময়:

জমি তৈরি করার সময় অথবা ফসলের চারা লাগানোর আগে ও পরে।

প্রয়োগের মাত্রা:

প্রতি বিঘায় ১ কেজি বা প্রতি একরে ৩ কেজি হারে (২-৩ বার প্রয়োজনে)।

বিঃ দ্রঃ “সুপার মাইক্রো”  মাছ ও চিংড়ি চাষে ব্যবহার করে (৩৩ শতাংশ জলাশয় ও ৩-৪ ফুট পানির গভীরতার জন্য ১ কেজি হারে) ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

 

সরকার অনুমোদিত সুপার মাইক্রোর উপাদান সমূহের অভাবজনিত লক্ষন ও অনুখাদ্যের কাজ সমূহ নিম্নে প্রদত্ত হইল:

দস্তা বা জিংকের অভাবে:

১। ধান গাছের কচি পাতার গোড়া সাদা হয়ে যায় এবং ধান গাছের অন্য পাতা হলদে ও পাতার আগায় বাদামী রং-এর দাগ দেখা যায়।

২। অভাব তীর্ব হলে পুরাতন পাতায় মরচে পড়া বাদামী রং থেকে হলদে কমলা লেবুর রং এ পরিণত হয় এবং সম্পূর্ণ ক্ষেতকে মরচে পড়া বাদামী         রং-এর মত করে ফেলে।

৩। ক্ষেতের কোথাও ধানের চারা বড় হয় কোথাও ছোট হয়।

৪। ধানের পাতার আকার ছোট হয় এবং পুরাতন পাতার কিনারা শুকিয়ে যায়।

৫। গম গাছের পাতায় বাদামী রং এর ছোপ-ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

৬। দস্তার অভাবে ভুট্টা গাছ বেঁটে হয় এবং নতুন কুঁড়ি সাদা হয়ে যায়।

৭। গাছে ফুল আসতে এবং ফল ধরতে বিলম্ব ঘটে।

৮। তামাক গাছের নীচের পাতায় দাগ পড়ে এবং অতিরিক্ত অভাব হলে আক্রান্ত পাতার অংশ-বিশেষ খসে পড়ে।

৯। লেবু গাছে ‘মটল লিফ’ দেখা দেয় অর্থাৎ পাতাগুলো কুঁকরিয়ে ও গুটিয়ে ছোট এবং সরু হয়ে যায়।

১০। কোন কোন ফল গাছে ‘রোজেটি’ রোগ দেখা দেয় অর্থাৎ পাতা ছোট, সরু ও তীব্র হয়ে যায়। কারণ ডগা বারতে

পারে না, আক্রামন তীব্র হলে কোন কোন সময় আক্রান্ত ডালের নিম্নাংশে একগুচ্ছ ডালের উৎপত্তি হতে পারে।

দস্তা বা জিংকের কাজঃ

১। দস্তা সবুজ কণিকা (ক্লোরোফিল) গঠনে সাহায্য করে (রীড ১৯৫৩)

২। গাছের বিভিন্ন এনজাইমের উপাদান গঠনে ইহা কাজে লাগে।

৩। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম গ্রহণে দস্তা সাহায্য করে।

৪। ইহা ফসলে ফুল ফোটানো ও ফল গঠনে সাহায্য করে।

৫ । বীজ গঠনেও ইহা অংশ গ্রহণ করে।

৬। গাছের হরমোনের কার্যকারিতার জন্য ইহা সহায়ক।

৭। দস্তা দানা জতীয় এবং ফল জাতীয় গাছের জন্য বিশেষ প্রয়োজন হয়।

ক্যালসিয়ামের অভাবে:

১। গাছের শীর্ষ কুঁড়ির বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।

২। নুতন পাতার উন্মোচন বিঘ্নিত হয় ফলে গাছের ডগা কুঁকড়ে যেতে থাকে। নতুন পাতা বিবর্ণও হয়ে যেতে পারে।

৩। গাছের শিকড় ও মূলরোমের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। শিকড় ছোট হয় এবং আগার দিকে শুকিয়ে যেতে পার।

৪ । ফুল ও ফলের কুঁড়ি অসময়ে ঝরে যায়।

৫ । শুঁটি বা শিম্বি জাতীয় ফসলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ৬। অভাব তীব্র হলে পাতায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

৭। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেক দিন ধরে চললে কুঁড়ি মরে যায় এবং পার্শ্ব থেকে শাখা বের হয়।

ক্যালসিয়ামের কাজ:

১। শিকড়ের জন্ম, বৃদ্ধি ও বিস্তৃতি ত্বরান্বিত করে।

২। কোষ বিভাজনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা রয়েছে।

৩। কোষের দেয়াল গঠনে ইহা প্রয়োজনীয়

৪। ক্যালসিয়াম বীজ ও দানা উৎপাদনে উৎসাহিত করে।

৫। দানা জাতীয় শস্যের গাছের কান্ড শক্ত করে কারণ ইহা গাছের স্বাভাবিক তেজ বাড়িয়ে দেয়।

৬। মৃত্তিকার গঠন উন্নত করে। ইহা এঁটেল মাটিকে কিছুটা ঝুর ঝুর করে পানি নিকাশ ও বায়ু চলাচল ব্যবস্থা উন্নতি করে।

৭। মাটি হতে গাছের দ্বারা বিষাক্ত দ্রব্যাদি গ্রহণ কমিয়ে দেয়।

৮। খাদ্য শস্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

৯। জৈব নাইট্রোজেনকে গাছের গ্রহনযোগ্য করার জন্য ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতা বাড়ায়।

১০। নাইট্রোজেন থেকে আমিষ তৈরীতে সহায়তা করে।

১১ । মাটিতে ফসফেট আবদ্ধ হওয়াকে রোধ করে।

১২। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মাটিতে লেবু জাতীয় গাছ ভাল জন্মে।

১৩। ইহা দ্বারা উদ্ভিদের স্বাভাবিক প্রাচুর্য উন্নত হয়। মাটিতে অম্লত্বের ভাগ বেশী থাকলে এটা অম্লের ভাগ কমিয়ে এনে মাটিতে বিদ্যমান অনেক            খাদ্য উপাদানকে গাছের গ্রহণোপযোগী খাদ্যে রূপান্তরিত করে।

ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে:

১। পাতার সবুঝ বর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। ধান গাছের বেলায় পাতা কমলা-হলুদ রং ধারণ করে ও শিরা উপশিরা বিবর্ণ হ হয়। যদিও উচ্চতা স্বাভাবিক থাকে কিন্তু পাতা নুইয়ে পড়ে। ভুট্টা গাছের পাতার আন্তশিরার সবুজ বর্ণ নষ্ট হয়ে সাদা ডোরা দেখা দেয়।

২। ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে তুলা গাছের পাতা লালচে বেগুনী বর্ণ ধারণ করে কিন্তু পাতার শিরা সবুজ থাকে।

৩। তামাক গাছের অপুষ্ট পাতার কিনারা ও আগা লালচে বর্ণ ধারণ করে এবং উপরের দিকে কিছুটা বেঁকে যায়।

৪। পাতার বোঁটা ও শাখা সরু হয়।

৫। সরিষা জাতীয় গাছে ইহার অভাব হলে বয়স্ক পাতায় গাঢ় কমলা, লাল এবং বেগুনী দাগ দেখা দিতে পারে।

ম্যাগনেসিয়ামের কাজ:

১। ইহা বৃক্ষ পত্রের সবুজ কনিকা (ক্লোরোফিল) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং

পাতার সবুজ রং রক্ষায় সহায়তা করে।

২। ইহা সালফারের সংগে যৌথভাবে কতিপয় তৈল জাতীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩। গাছের বিভিন্ন অংশে ইহা শ্বেতসার চালনা করে থাকে।

৪। ইহা গাছের অভ্যন্তরে ফসফরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে। খাদ্য উপাদান গ্রহণ নিয়ন্ত্রিত করে।

৫ । ম্যাগনেসিয়াম গাছের অন্যান্য ।

৬। ইহা চর্বি ও শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরীতেও সাহায্য করে।

 সালফার বা গন্ধকের অভাবে:

১। গাছের নতুন পাতা হলুদ হয়ে যায়। ধান ক্ষেতে অনুরূপ লক্ষণ দেখা যায়।

২। ধান গাছের বৃদ্ধি এবং কুশীর সংখ্যাও কমে যায়।

৩। ধানের শীষে পুষ্ট ধানের সংখ্যা কম হয় ও চিটা বেশী হয় এবং ফলন অনেক কমে যায়।

৪। ধান পাকতে সময় লাগে, একই জমিতে ধান বিভিন্ন সময় পাকে।

৫। তৈল বীজ জাতীয় ফসলে তেলের পরিমাণ কমে যায়।

৬। লেবু জাতীয় গাছের কচি ডগায় সাদাটে পাতা বের হয়।

৭। আলু গাছের নীচের পাতা ধূসর বাদামী বর্ণ ধারণ করে। কোন কোন সময় নতুন পাতাও আক্রান্ত হয়।

৮। টমেটো পাতা হালকা সবুজ হয় এবং শিরার নীচের দিকে বেগুনী দাগ দেখা দেয়।

সালফার বা গন্ধকের কাজ:

১। গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

২। গাঢ় সবুজ রং রক্ষায় সহায়তা করে ও গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

৩। শিকড়ে নাইট্রোজেন গুঁটি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং আমিষ তৈরীতে অংশ গ্রহণ করে।

৪। তেল বীজ জাতীয় ফসলের বিশেষ করে সরিষা গোত্রের তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৫। বাঁধা কপি, শালগম, মূলা ইত্যাদির ফলন বৃদ্ধি করে।

৬। বীজ উৎপাদনে সাহায্য করে।

৭। ভিটামিনেরও উপাদান।

কপারের অভাবেঃ

১। কচি (নতুন) পাতা প্রথমে বিবর্ণ হয়। পাতার কিনারা দিয়ে রং হলদে হয়ে যায়।

২। কান্ডের ডগা শুকিয়ে যায়।

৩। দানা জাতীয় শস্যে ইহার তীব্র অভাব হলে শিকড়ের বিস্তার কম হয় ও ফুল আসার আগে মরে যায়। ৪। গম ফসলের নতুন পাতায় পান্ডু রোগ        হয়। পাতার কিনারা দিয়ে রং হলদে হয়ে যায়, কুশীও কম হয়।

৫। চারা অবস্থায় ভুট্টার পাতার আগা হলদে হয়ে যায়। পরে ‘ডাইব্যাক’ নামে এক রকম রোগ দেখা দেয়।

৬। তামাক গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে এবং বীজ ধারণ ক্ষমতা অনেকটা হারিয়ে ফেলে।

৭। আলু গাছ বেঁটে হয় এবং দেখতে গাঢ় সবুজ দেখায়। ৮। টমেটো গাছ বেঁটে হয়, পাতা ছোট হয়, ফুল ঝরে যেতে পারে, ফলও কম হয়।

৯। লেবু গাছের ছালের নীচে আঠার থলি তৈরী হয় ও ফল ফেটে যায়।

কপারের কাজঃ

১। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

২। গাছের পাতার সবুজ কণিকা ও শ্বেতসার গঠনে সাহায্য করে।

৩। উদ্ভিদে ভিটামিন ‘এ’ এবং কারো কারো মতে ভিটামিন ‘সি’ গঠনে সাহায্য করে।

৪। উদ্ভিদের দেহে রাসায়নিক ক্রিয়ার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান।

৫। ফসলের দানা বা বীজ পুষ্ট হতেও ইহা অনেক সময় সাহায্য করে থাকে।

৬। গাজর, পালং, লেটুস, পেঁয়াজ ইত্যাদি গাছের চেহারাতে ঔজ্জল্য প্রদান করে।

 লৌহের অভাবে:

১। ধান গাছের পাতার রং হলদে বা সাদাটে হয়ে যায়। ধানের বীজতলার চারার নতুন পাতা হলদে হয়ে যায়। আক্রমণ তীব্র হলে পাতাগুলো হলদে সাদা এমনকি সাদা হয়ে যেতে পারে।

২। টমেটোর পাতার আন্তঃশিরা হলদে সাদা হয়ে ক্লোরোসিস হতে পারে। এছাড়া কান্ডের আগা

হলদে সবুজ হয় এবং ডগার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।

৩। ফসলের ফল ও বীজ উৎপাদন কম হয়। ফল গাছের পাতায় লালচে বাদামী দাগ দেখা যায়।

৪। সরিষা জাতীয় গাছের কচি পাতায় হলদে সাদা ক্লোরোসিস দেখা দেয় কিন্তু পুরাতন পাতা সবুজ থাকে।

৫। সয়াবিনের পাতা ছোট হয় এবং স্বাভাবিক বর্ণ হারিয়ে হালকা সাদা বর্ণ ধারণ করে।

৬। ফল অতীব উজ্জল দেখায়।

৭। তামাকের পাতার সাধারণ সবুঝ রং বিবর্ণ হয়ে যায় যদিও মূল শিরা অনেকটা স্বাভাবিক থাকে।

লৌহের কাজ:

১। ইহা গাছের পাতায় সবুজ কণিকা তৈরীতে কাজে লাগে।

২। নীল সবুজ শ্যাওলা (Blue green algae) ও বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন আবদ্ধ করতে ইহার প্রয়োজন হয়।

৩। গাছের হিমোগ্লোবিন, আমিষ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক যৌগ পদার্থ সৃষ্টিতে ইহা কাজে লাগে।

৪। ইহা সালোকসংশ্লেষণের কাজে লাগে। লৌহের অভাবে সালোকসংশ্লেষণ কম হয়।

বোরনের অভাবে:

১। সাধারনত গাছের কান্ড, কুঁড়ি ও শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। অনেক গাছের পাতার আগা মোচড়িয়ে বিকৃত হয়ে যায় এমনকি কোন কোন             সময় কুঁড়ি মরে যায়। আলুর বৃদ্ধিমান অংশ এবং টমেটোর কুঁড়ি মরে যায়।

২। যে সব কোষের মাধ্যমে গাছের ভেতরে পানি চলাচল করে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩। শিম্বি (শুঁটি) জাতীয় ফসলের শিকড়ে গুটির সংখ্যা কম হয়, আকৃতি ছোট হয় ফলে নাইট্রোজেন কম আবদ্ধ হয়।

৪। ফুল কপির কান্ডে ফাপা এবং ভেতরে বাদামী বর্ণের দাগ সৃষ্ট হয়। বাধা কপিতেও অনেকটা এ ধরণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ৫। বীট,               সালগম প্রভৃতি গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে বাদামী হয়ে যায়, নতুন পাতাও গুটিয়ে যায়।

৬। তামাক গাছের কান্ডের ডগা দুর্বল হয়ে যায়।

৭। ফরাসী সীমের চারা গাছের পাতায় পান্ডু রোগ দেখা দেয়।

৮। সুগারবিটের পাতার বোঁটা কুঁকড়িয়ে যায় এবং শীষের দিকে বোঁটা পচে যেতে পারে।

৯। কোন কোন ফল (আপেল) ছোট ও বিকৃত হয়।

১০। লেবু শক্ত হয়ে যায়।

বোরনের কাজ:

১। বোরণ নাইট্রোজেন আত্মীকরণে সাহায্য করে।

২। গুঁটি জাতীয় গাছের শিকড়ে গুটি গঠনে সাহায্য করে।

৩। গাছের দেহে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের অনুপাত নিয়ন্ত্রণ করে।

৪। ইহা গাছের মধ্যে শ্বেতসার চলাচলে সাহায্য করে।

৫। গাছের কোষের দেয়াল শক্ত করে।

৬। তন্তুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বোরণ সাহায্য করে।