sigmaagrovet@yahoo.com
ভূমিকা:
বোরন গাছের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি অনুখাদ্য। মাটিতে বোরনের ঘাটতি হলে অন্য যে কোন পুষ্টি উপাদান দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয়। বোরনের অভাবে শুধু ফলনই কমে না, সেই সাথে সাথে ফসলের গুণগত মানও হ্রাস পায়। বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মাটিতেই কম বেশী বোরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জৈব পদার্থের অভাবে বেলে, বেলে-দোঁয়াশ ও এঁটেল মাটিতে বোরনের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই বিভিন্ন ফসলের আশানুরূপ ফলন পেতে হলে বোরন সারের বিকল্প নেই।
অভাবজনিত লক্ষণ:
(১) সাধারণত গাছের কান্ড, কুঁড়ি ও শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। অনেক গাছের পাতার আগা মোচড়িয়ে বিকৃত হয়ে যায় এমনকি কোন কোন সময় কুঁড়ি মরে যায়। আলুর বৃদ্ধিমান অংশ এবং টমেটোর কুঁড়ি মরে যায়। (২) যে সব কোষের মাধ্যমে গাছের ভেতরে পানি চলাচল করে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। (৩) শিম জাতীয় ফসলের শিকড়ে গুটির সংখ্যা কম হয়, আকৃতি ছোট হয় ফলে নাইট্রোজেন কম আবদ্ধ হয়। (৪) ফুল কপির কান্ডে ফাঁপা এবং ভেতরে বাদামী বর্ণের দাগ সৃষ্টি হয়। বাঁধা কপিতেও অনেকটা এধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। (৫) সিমের চারা গাছের পাতায় পান্ডু রোগ দেখা দেয়। (৬) ফলের আকার ছোট ও বিকৃত হয়। (৭) লেবু শক্ত হয়ে যায়।
সোডিবোর এর কাজ:
* বোরন উদ্ভিদে নাইট্রোজেন আত্মীকরণে সাহায্য করে।
* সিম জাতীয় গাছের শিকড়ে গুটি গঠনে সাহায্য করে।
* গাছের দেহে পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের অনুপাত নিয়ন্ত্রণ করে।
* ইহা গাছের মধ্যে শ্বেতসার চলাচলে সাহায্য করে।
* গাছের কোষের দেয়াল শক্ত করে।
* তন্তুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্রয়োগক্ষেত্র:
ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সরিষা, বেগুন, বাঁধা কপি, শশা, মূলা, শিম, বরবটি, কুমড়া, পটল, করলা কাকরোল, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, কলা, আনারস, তরমুজ, ইক্ষু, পান, তুলা, চা ইত্যাদি ফসলে সোডিবোর ব্যবহার করিলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়।