টপ জিংক

জিংক সালফেট (মনোহাইড্রেট)

 

উপাদানসমূহ: জিংক-৩৬%, সালফার-১৭.৫%

 

Description

অভাবজনিত লক্ষণ:

১) ধান গাছের কচি পাতার গোড়া সাদা হয়ে যায় এবং ধান গাছের অন্য পাতা হলদে ও পাতার আগায় বাদামী রংয়ের দাগ দেখা যায়। ২) অভাব তীব্র হলে পুরাতন পাতায় মরচে পড়া বাদামী রং থেকে হলদে কমলা লেবুর রং এ পরিণত হয় আবার কোথাও ছোট হয়। ৪) ধানের পাতার আকার ছোট হয় এবং পুরাতন পাতার কিনার শুকিয়ে যায়। ৫) গম গাছের পাতায় বাদামী রংয়ের ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। ৬) দস্তার অভাবে ভূট্টাগাছ বেঁটে হয় এবং নতুন কুঁড়ি সাদা হয়। ৭) গাছে ফুল আসতে এবং ফল আসতে বিলম্ব ঘটে। ৮) লেবু গাছে ‘মটল লিফ’ দেখা দেয় অর্থাৎ পাতা গুলো কুঁকড়িয়ে ও গুটিয়ে ছোট এবং সরু হয়ে যায়।

দস্তার কাজ:

১) দস্তা উদ্ভিদের সবুজ কণিকা (ক্লোরোফিল) গঠনে সাহায্য করে। ২) গাছের বিভিন্ন এনজাইমের উপাদানে ইহা কাজে লাগে।

৩) নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম গ্রহণে দস্তা সাহায্য করে।

৪) ইহা ফসলে ফুল ফোটানো ও ফল গঠনে সাহায্য করে।

৫) বীজ গঠনেও ইহা অংশ গ্রহণ করে।

৬) গাছের হরমোনের কার্যকারিতার জন্য ইহা সহায়ক।

৭) দস্তা দানা জাতীয় এবং ফল জাতীয় গাছের জন্য বিশেষ প্রয়োজন।

প্রয়োগক্ষেত্র:

ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সরিষা, বেগুন, বাঁধা কপি, শশা, মূলা, শিম, বরবটি, কুমড়া, পটল, করলা কাকরোল, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, কলা, আনারস, তরমুজ, ইক্ষু, পান, তুলা, চা ইত্যাদি ফসলে টপ জিংক সার ব্যবহার করিলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়।

প্রয়োগ মাত্রা:

ছিটিয়ে প্রয়োগে একর প্রতি ৩-৪ কেজি টপ জিংক সার প্রয়োগে ভাল ফল পাওয়া যায়। দস্তার অভাব বেশি হলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োগমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।