sigmaagrovet@yahoo.com
রেজিষ্ট্রেশন নং: এপি ৭৪৩৩
(ম্যানকোজেব-৬৩% + কার্বেনডাজিম-১২%)
অন্তর্বাহী এবং স্পর্শক্রিয়া ছত্রাক নাশক
ব্যবহারের পূর্বে ভাল করে লেবেলের নির্দেশাবলী পড়ে নিন
ম্যানকোজিম অন্তর্বাহী ছত্রাকনাশক ‘কার্বেনডাজিম’ এবং স্পর্শক্রিয় ছত্রাকনাশক ‘ম্যানকোজেব’ এর সংমিশ্রণে তৈরী। এর প্রতি কেজিতে ৬৩০ গ্রাম ‘ম্যানকোজেব’ এবং ১২০ গ্রাম ‘কার্বেনডাজিম’ সক্রিয় উপাদান আছে। প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক দু’ভাবেই কার্যকরী। ম্যানকোজিম প্রয়োগে রোগাক্রান্ত ফসল অল্প সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে।
ম্যানকোজিম-এর প্রয়োগমাত্রা ও ব্যবহারবিধি
ফসল | রোগের নাম | অনুমোদিত মাত্রা | |
---|---|---|---|
একর প্রতি | ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে | ||
চিনা বাদাম | টিক্কা, লিফ স্পট | ২৫০ গ্রাম | প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে |
গুদামজাতকরণ: ম্যানকোজিম এর প্যাকেট শিশুদের নাগালের বাইরে এবং খাদ্যদ্রব্যাদি হতে দূরে সুনির্মিত ও বায়ু প্রবাহিত ঘরে সংরক্ষণ করুন।
সাবধানতাঃ
* খালি হাতে ম্যানকোজিম ব্যবহার করবেন না, হাতে ক্লিনিক্যাল মোজা অথবা পলিথিনের ব্যাগ জড়িয়ে নিন।
স্বাদ ও গন্ধ নেয়া বা শরীরে লাগানো নিধেধ।
* ম্যানকোজিম ব্যবহারের সময় চোখ, নাক ও মুখে হাত দিবেন না।
* ম্যানকোজিম ব্যবহারের সময় পানাহার ও ধূমপান নিষেধ।
* খালি গায়ে ও বাতাসের বিপরীতে ম্যানকোজিম স্প্রে করবেন না।
* ব্যবহারের পর খালি প্যাকেট ছিড়ে মাটিতে পুতে ফেলুন।
বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ ঘুম ঘুম ভাব, শ্বাসকষ্ট, চোখের মণি বের হয়ে আসা ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা: বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে কাপড়-চোপড় বদলে ফেলে সাবান পানি দিয়ে শরীর ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। ভুলবশতঃ ছত্রাকনাশক পেটে গিয়ে থাকলে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করান। তাবে অচেতন রোগীকে কখনও বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। অধিক আক্রান্ত রোগীকে অতি সত্ত্বর ডাক্তার দেখান।
প্রতিষেধক: নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক নেই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।